গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি মেমোরি চিপের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেমোরি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। পাশাপাশি ডেস্কটপে ব্যবহৃত ডিআরএম র্যামের দামও ১৭০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে স্টোরেজযুক্ত ইলেকট্রনিক পণ্যে যেমন ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার করা ডিভাইসগুলোর দামও বিশ্ববাজারে বাড়তে পারে।
এআইভিত্তিক নতুন ডাটা সেন্টার নির্মাণের কারণে মেমোরির চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তবে চাহিদা বাড়লেও অতিরিক্ত সরবরাহের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য তারা এখন মেমোরি তৈরির পরিকল্পনা করছেনা বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
নতুন এই বছরে এআই অবকাঠামোর দ্রুত বিস্তারের কারণে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার ও বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। ফলে প্রযুক্তি খাতে একের পর এক ঘাটতি দেখা দেওয়া শুরু হয়েছে।
২০২৫ সালের শুরুতে নতুন প্রজন্মের গ্রাফিক্স কার্ড বাজারে আসার পর প্রথম সংকট দেখা দিয়েছে। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, ডাটা সেন্টার নির্মাণের চাপ বাড়ায় আশপাশের জাইগাগুলোতে বিদ্যুৎ খরচ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মাইক্রোসফট তাদের কেনা বিপুল সংখ্যক জিপিইউ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। অন্যদিকে শক্তি ঘাটতি মোকাবেলায় ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্সএআই প্রচুর গ্যাস টারবাইন কিনেছে। এছাড়াও, নিজেদের চাহিদা মেটাতে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রও ক্রয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রয়টার্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এআই চাহিদার এবার আরো গভীরে পৌঁছে গিয়েছে, ফলে কয়েক মাস ধরেই মেমোরি বাজারে প্রভাব পড়ছে। এজন্য স্যামসাং মেমোরি চিপের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। কোম্পানিটির ৩২ জিবি ডিডিআর ৫ র্যাম সেপ্টেম্বরে আগে ছিল ১৪৯ ডলার, এখন তা বেড়ে ২৩৯ ডলারে দারিয়েছে।
সোর্স: স্যামসাং
